Showing posts with label শিক্ষা. Show all posts
Showing posts with label শিক্ষা. Show all posts

Thursday, September 26, 2024

আনন্দমোহন কলেজস্থ শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন

আনন্দমোহন কলেজস্থ শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন



স্টাফ রিপোর্টার:


আনন্দমোহন কলেজস্থ শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সাময়িক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালীন এই কমিটিতে শরীফ আহাম্মেদ কে সভাপতি এবং রাকিবুল ইসলাম কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) শেরপুর জেলার উপদেষ্টামণ্ডলী, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে এই কমিটি গঠন করা হয়।


শেরপুর জেলার শিক্ষার্থীদের সার্বজনীন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (ব্যবস্থাপনা বিভাগ) খ: রেজাউর রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রশিদুল আলম, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: রেজাউল করিম  স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।



উক্ত কমিটিতে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।


উক্ত কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি শরীফ আহাম্মেদ বলেন, শুরুতেই জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহত ভাই-বোনদের সুস্থতা কামনা করছি। অবহেলিত শেরপুর জেলার শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধতা ও কল্যাণ কামনা করাই আমাদের উদ্দেশ্য।  শেরপুর থেকে আনন্দমোহন কলেজে পড়ালেখা করতে আসা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমাদের এ সংগঠন। সকলের কল্যাণে আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করব।গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সকল বিপদে আপদে আমরা পাশে থাকবো। তিনি আরও বলেন,  শেরপুর জেলার শিক্ষার্থীদের যেকোনো কল্যাণে আমরা সবসময় কাজ করবো।রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করবো সবাইকে।আমাদের সংগঠনের স্বাস্থ্যবান সকল শিক্ষার্থী রক্তদান করবে জরুরি মুহুর্তে। যারা আর্থিকভাবে দুর্বল তাদের পাশে দাঁড়াবো।কেউ ভর্তি ফি বা পরীক্ষার ফি দিতে না পারলে তাদের যথাসাধ্য সাহায্য করবো। এক কথায়, ক্যাম্পাসে আসা শেরপুরের নতুন শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতা করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।




সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বলেন, কলেজে প্রায় ১৬ বছরে সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একক আধিপত্য বিরাজমান ছিল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে বৈষম্যের স্বীকার হয়েছে আমরা এটার অবসান চাই। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। সন্ত্রাস ও নোংরা রাজনীতির প্রভাব মুক্ত একটি ক্যাম্পাস চাই এবং সাধারণ ছাত্রদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে কাজ করতে চাই।



সর্বোপরি, শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যান পরিষদের নবগঠিত এই কমিটি কে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা সহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী ও সুশীল সমাজ।

Wednesday, May 8, 2024

যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যাপক নাদিরকে সাময়িক অব্যাহতি

যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যাপক নাদিরকে সাময়িক অব্যাহতি

যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যাপক নাদিরকে সাময়িক অব্যাহতি
অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদ

যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যাপক নাদিরকে সাময়িক অব্যাহতি

 বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সত্যতা পাওয়ায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক নাদিরকে সকল প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।  

মঙ্গলবার (০৭ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম সিন্ডিকেট বৈঠকে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়। একাধিক সিন্ডিকেট সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেন।  

সিন্ডিকেট সূত্র থেকে জানা যায়, অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি আরও অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হয়েছে। এই তদন্তে শেষ হওয়া পর্যন্ত অধ্যাপক নাদিরকে সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলকে তদন্ত করতে দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে।  

এর আগে, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন।পরদিন ১১ ফেব্রুয়ারি বিভাগের আরেক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে মৌখিক যৌন হয়রানির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ করেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীও তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট গত ৩ মার্চ ফলাফল ধসে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি  ও যৌন হয়রানির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন।

এছাড়াও চলতি বছরের গত ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে ফলে ধস নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

Monday, August 23, 2021

এসএসসি-এইচএসসির অ্যাসাইনমেন্টে নকল ঠেকাতে উদ্যোগ সরকারের

এসএসসি-এইচএসসির অ্যাসাইনমেন্টে নকল ঠেকাতে উদ্যোগ সরকারের


এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টে নকল ঠেকানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইনমেন্ট নকল করছে কি না বা নিজ হাতে অ্যাসাইনমেন্ট করে জমা দিচ্ছে কি না, তা মনিটরিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষদের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। আলাদা করে এ–সংক্রান্ত দুটি নির্দেশনা জারি করেছে মাউশি।
শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ও মূল্যায়ন নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম যথাযথ পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা সরেজমিনে মনিটরিংয়ের ‘অ্যাসাইনমেন্ট মনিটরিং কমিটি’ নামে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি–বেসরকারি শিক্ষাপ্রধানদের নেতৃত্বে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের নেতৃত্বে এ কমিটি গঠন করা হবে।
এ কমিটিগুলো করণীয় বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর বলেছে, সব পরীক্ষার্থী যেন অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে, তা নিশ্চিত করবে। শিক্ষার্থীরা যেন কোনোক্রমেই অ্যাসাইনমেন্টগুলোয় নকল বা কোনো প্রকারের অসদুপায় অবলম্বন না করে, সে বিষয়ও নিশ্চিত করবে। কোনো শিক্ষার্থী যদি অ্যাসাইনমেন্টে নকলের আশ্রয় নিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়, তাহলে এটি বাতিল করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবে। বিষয়টির যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে ব্যাপারে শিক্ষার্থীকে সতর্ক করবে কমিটি।
শিক্ষার্থীরা যেন অ্যাসাইনমেন্টগুলো নিজ হাতে লিখে জমা দেয়, সে বিষয় নিশ্চিত করতে কাজ করবে কমিটি। নির্দেশনা মোতাবেক অ্যাসাইনমেন্টগুলো শিক্ষক কর্তৃক যথাযথভাবে মূল্যায়ন, সংরক্ষণ এবং নম্বরগুলো সঠিকভাবে এক্সেল শিটে এন্ট্রি করা হচ্ছে কি না, তা কমিটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। কমিটি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে চলমান অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সফলভাবে কার্যকর করার লক্ষ্যে সার্বিকভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। অ্যাসাইনমেন্ট–সংক্রান্ত বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের থেকে সময় সময় জারিকৃত নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতেও বলা হয়েছে।
গত ১৫ জুলাই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সময়ের ঘোষণা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানান, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ১২ সপ্তাহে ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। তারা প্রতি সপ্তাহে দুটি করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবে। এসএসসির ক্ষেত্রে প্রতিটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে মোট আটটি করে অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে। এর মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি শেষ করা হবে।