স্টাফ রিপোর্টার:
আনন্দমোহন কলেজস্থ শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাকালীন সাময়িক কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালীন এই কমিটিতে শরীফ আহাম্মেদ কে সভাপতি এবং রাকিবুল ইসলাম কে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) শেরপুর জেলার উপদেষ্টামণ্ডলী, সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে এই কমিটি গঠন করা হয়।
শেরপুর জেলার শিক্ষার্থীদের সার্বজনীন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (ব্যবস্থাপনা বিভাগ) খ: রেজাউর রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রশিদুল আলম, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
উক্ত কমিটিতে বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উক্ত কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি শরীফ আহাম্মেদ বলেন, শুরুতেই জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহত ভাই-বোনদের সুস্থতা কামনা করছি। অবহেলিত শেরপুর জেলার শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধতা ও কল্যাণ কামনা করাই আমাদের উদ্দেশ্য। শেরপুর থেকে আনন্দমোহন কলেজে পড়ালেখা করতে আসা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমাদের এ সংগঠন। সকলের কল্যাণে আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করব।গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সকল বিপদে আপদে আমরা পাশে থাকবো। তিনি আরও বলেন, শেরপুর জেলার শিক্ষার্থীদের যেকোনো কল্যাণে আমরা সবসময় কাজ করবো।রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করবো সবাইকে।আমাদের সংগঠনের স্বাস্থ্যবান সকল শিক্ষার্থী রক্তদান করবে জরুরি মুহুর্তে। যারা আর্থিকভাবে দুর্বল তাদের পাশে দাঁড়াবো।কেউ ভর্তি ফি বা পরীক্ষার ফি দিতে না পারলে তাদের যথাসাধ্য সাহায্য করবো। এক কথায়, ক্যাম্পাসে আসা শেরপুরের নতুন শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতা করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।
সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বলেন, কলেজে প্রায় ১৬ বছরে সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একক আধিপত্য বিরাজমান ছিল এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে বৈষম্যের স্বীকার হয়েছে আমরা এটার অবসান চাই। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। সন্ত্রাস ও নোংরা রাজনীতির প্রভাব মুক্ত একটি ক্যাম্পাস চাই এবং সাধারণ ছাত্রদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে কাজ করতে চাই।
সর্বোপরি, শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যান পরিষদের নবগঠিত এই কমিটি কে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা সহ প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী ও সুশীল সমাজ।