রাইসুল ইসলাম রিফাতঃ
সুখর-সুখবর-সুখবর।
কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে এসে গেছে... বীজ ধান।
আইসা গেছে নতুন ধান, লাগালেই দ্বীগুন ফলন, বাম্পার ফলন।
চোখের ডাক্তার বসবে, নাক-কান-গলার ডাক্তার বসবে আগামীকালই চলে আসুন।'
কাচারি মোড়ে আগামীকাল লক্ষ টাকা দামের গরু জবাই করা হবে প্রতি কেজি মাংসের মূল্য এত টাকা এই ধরনের মাইকিং এখন নিত্য দিনের যন্ত্রণা।
শুধু তাই নয়, বিভিন্ন কোম্পানীর বাল্ব, প্লাস্টিকের চেয়ার, ব্যাথা ও চুলকানীর মলমসহ বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতে উচ্চ আওয়াজের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এখন শেরপুর জেলার নকলাবাসী।
হাসপাতাল বা চিকিৎসালয় এর আশেপাশে স্টপ হর্ণ এর সংকেত থাকলেও উচ্চ আওয়াজে চলছে বিরতিহীন মাইকিং।রোগীরাও ভুগছে নানান অস্বস্তি তে।মসজিদ এ নামাজ চলা সময়েও বিরতি নেই এসব মাইকিং এর বহিঃপ্রকাশ।
রিকশায় ও ইজিবাইকে কখনো একটি মাইক বেঁধে আবার কখনো দু’টি মাইক বেঁধে উচ্চ শব্দে দিনে-রাতে চলে এ ধরনের প্রচারণা। এরকম সুখবর দিনে একটা মাইকের বাহন না পথে নামে অনেক সুখবর দাতা, শুধু রাস্তায় থাকা মানুষ জন নয় রাস্তার আশেপাশে থাকা বাড়িওয়ালাদের এই সমাস্যার সম্মুক্ষীন হতে হচ্ছে।
দীর্ঘ সময় ধরে এভাবে মাইকিং করতে এখন আর দরকার পড়ে না ঘোষকের। ঘোষণাটি একবার রেকর্ড করে মেবাইলের মেমোরি কার্ডে নিয়ে রিকশায় অথবা ইজিবাইকে মাইক বেঁধে চলতে থাকে দিনভর বিরতিহীন ঘোষণা। ঘোষনার কথার সাথে থাকে উচ্চ আওয়াজের মিউজিক। যার ফলে মারাত্মক ভাবে শব্দ দূষণ হচ্ছে।
আর এই শব্দ দুষণের কারণে মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস, বধিরতা, হৃদরোগ, মেজাজ খিটখিটে হওয়াসহ বিরক্তি সৃষ্টি হয়।সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় শিশু এবং বয়স্করা। এমনকি গর্ভে থাকা সন্তানও শব্দদূষণে ক্ষতির শিকার হয়, অর্থাৎ তাদের শ্রবণশক্তি খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। আধুনিকতার এই যুগে এভাবে প্রচার প্রচারণা করা সম্পুর্ণ বেমানান। এভাবে মাইকে প্রচার প্রচারণা চলছে অনেক জেলা- উপজেলায়।
এর জন্য সঠিক নিয়ম পালনে যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানািয়েছেন এলাকাবাসী।
0 coment rios: