স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরে বয়স্ক মানুষ, প্রতিবন্ধী শিশু, অসহায় নারী ও পুরুষদের শারীরিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে দেশের স্বনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান আশা এর সামাজিক প্রকল্প শেরপুর আশা ফিজিওথেরাপি সেন্টার। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে যাত্রা শুরুর পর থেকে এই সেন্টার ইতোমধ্যে জেলার স্বাস্থ্যসেবায় এক মানবিক উদ্যোগ হিসেবে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
উদ্বোধনের পর গত আড়াই বছরে সেন্টারটি থেকে সেবা নিয়েছেন ২০ হাজারের বেশি রোগী। নিয়মিত সেশনে হাঁটু ব্যাথা, কোমর ব্যাথা, স্ট্রোক-পরবর্তী জটিলতা, প্রতিবন্ধী শিশুদের পুনর্বাসন, বাতব্যথা, মেরুদণ্ডের সমস্যা, অপারেশন পরবর্তী থেরাপি, সাইটিকা ও বিভিন্ন নার্ভজনিত সমস্যার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শহরের সদর থানা রোডে অবস্থিত শান্ত পরিবেশে গড়ে ওঠা এ সেন্টারে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন রোগী মাত্র ১০০ টাকা ফি তে থেরাপি সেবা পাচ্ছেন। আশার সদস্যদের জন্য এই ফি আরও কমিয়ে রাখা হয়েছে ৫০ টাকা, যা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ সহায়তা হিসেবে কাজ করছে।এছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতি মাসে ২ টি করে ফিজিওথেরাপি ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় । যেখানে মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে দরিদ্র মানুষদের সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হয় ।
এই সেন্টারে ফিজিওথেরাপি সেবা প্রদান করেন প্রশিক্ষিত ও যোগ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন ফিজিওথেরাপিস্ট মো. আশরাফুল ইসলাম, বিপিটি (গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ), মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথ (ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) ও ফিজিওথেরাপিস্ট
রাজিয়া সুলতানা, বিপিটি (নিটোর)।
এছাড়াও রয়েছে অফিস সহায়কবৃন্দ, যারা রোগীদের সেবাকে আরও সহজ ও কার্যকর করে তুলতে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
স্থানীয়রা জানান, সাশ্রয়ী মূল্যে থেরাপি গ্রহণ করে ইতোমধ্যে অনেক রোগী হাঁটাচলার অক্ষমতা থেকে সুস্থ হয়েছেন। বৃদ্ধা নারীদের জন্য এই সেন্টার যেন সত্যিকার অর্থেই আশার আলো হয়ে উঠেছে। নিয়মিত থেরাপিতে কোমর ব্যথা, মাংসপেশীর সমস্যা, স্ট্রোক-পরবর্তী অবশভাবসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আরাম পাচ্ছেন অনেকেই।
সেন্টারের দায়িত্বশীলরা বলেন, জেলার সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে স্বল্প খরচে উন্নত থেরাপি প্রদানই তাদের মূল লক্ষ্য। অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টদের মাধ্যমে প্রতিটি রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে সেন্টারের পরিসর আরও বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
স্থানীয়রা এই উদ্যোগকে মানবিক, সময়োপযোগী ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের মতে, সেন্টারের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হলে জেলার আরও অনেক মানুষ উপকৃত হবেন।
0 coment rios: