
কুড়ানো শালপাতাই যাদের জীবিকার মাধ্যম
রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর
শালবনের শুকনো পাতা কুড়িয়েও জীবিকা নির্বাহ করছে অনেকে। প্রতি বছর ফাল্গুন থেকে বৈশাখ মাস দিনাজপুরের কয়েকটি শালবনের গাছগুলোর ঝড়া পাতা কুড়িয়ে তা বাজারজাত করে শত শত মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। ওইসব নারী-পুরুষ এই শালপাতা কুড়িয়েই অনেকের ভাগ্যের চাকাও ঘুরিয়ে যত বেশি সংগ্রহ করতে পারে তার আয় তত বেশি হয়। আবার অনেকে এই পাতা সংগ্রহ করে তা বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসের দিকে বাজারজাত করে এখনকার বাজার মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি করে বেশী লাভের আশায়।
দিনাজপুরের বিরলের ধর্মপুর, নবাবগঞ্জ, বীরগঞ্জ, বিরামপুরসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে শালবাগান। যেখানে বনের আশেপাশের অনেক মানুষের এই শালবাগানের কুড়ানো শালপাতাই জীবিকার মাধ্যম।
জানা যায়, বিরলে কালিয়াগঞ্জের ধর্মপুর ও রাণীপুকুর ইউপি’র ধর্মপুর, নলপুর, এনায়েতপুর, মহেশ শীবপুর, ছোট চৌপুকুরিয়া, বাঁমনগাঁও, বিশ্বনাথপুর, রাণীপুর, কামদেবপুর, ধর্মজইনসহ আশপাশের গ্রামগুলোয় বিশাল এই শালবনের বিস্তৃতি। বীরগঞ্জের ভোগনগর ইউপির ৮৫৫.৫০ একর ভূমির উপর অবস্থিত বনে চোখে পড়বে প্রাচীন পত্রঝরা সিংড়ার বনাঞ্চল শালবন।
বসন্তের আগমনের শুরু থেকে ধর্মপুর, সিংড়াসহ বিভিন্ন শালবনের শাল, সেগুন, আকাশমনি গাছসহ অন্যান্য গাছের শুকনো পাতা ব্যাপক ঝড়ে পড়তে শুরু করে। আর এই শুকনো পাতা সংগ্রহ করে নিজেদের দৈনন্দিন রান্নার কাজসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করে জীবিকা নির্বাহ করে ওই এলাকার হৈমন্তি, জীবীত, অরুন, রাজেন, জাকারিয়া, এনামুল, মজেন, শান্তিবালা, রূপবানীসহ নাম না জানা অনেকে।