Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts
Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts

Wednesday, May 8, 2024

কুড়ানো শালপাতাই যাদের জীবিকার মাধ্যম

কুড়ানো শালপাতাই যাদের জীবিকার মাধ্যম

কুড়ানো শালপাতাই যাদের জীবিকার মাধ্যম

কুড়ানো শালপাতাই যাদের জীবিকার মাধ্যম



 রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

 ৮ মে, ২০২৪ ১৬:১২
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বদলে যায় প্রকৃতি। প্রকৃতির এই পরিবর্তন অনেকের জন্য সুখময় হয় ভিন্ন কারণে। কিন্তু হতদরিদ্র মানুুষের কাছে আর্শীবাদ হয়ে আসে ঋতু পরিবর্তনে সময় ঝড়ে পড়া বিভিন্ন গাছগাছালরি পাতা। যা বর্ষাকালে হতদরিদ্র মানুষগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে।
বিক্রি করেও আয় হয় কিছু অর্থ।

শালবনের শুকনো পাতা কুড়িয়েও জীবিকা নির্বাহ করছে অনেকে। প্রতি বছর ফাল্গুন থেকে বৈশাখ মাস দিনাজপুরের কয়েকটি শালবনের গাছগুলোর ঝড়া পাতা কুড়িয়ে তা বাজারজাত করে শত শত মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। ওইসব নারী-পুরুষ এই শালপাতা কুড়িয়েই অনেকের ভাগ্যের চাকাও ঘুরিয়ে যত বেশি সংগ্রহ করতে পারে তার আয় তত বেশি হয়। আবার অনেকে এই পাতা সংগ্রহ করে তা বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসের দিকে বাজারজাত করে এখনকার বাজার মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি করে বেশী লাভের আশায়।

দিনাজপুরের বিরলের ধর্মপুর, নবাবগঞ্জ, বীরগঞ্জ, বিরামপুরসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে শালবাগান। যেখানে বনের আশেপাশের অনেক মানুষের এই শালবাগানের কুড়ানো শালপাতাই জীবিকার মাধ্যম।

বিভিন্ন শালবনে শুকনো পাতা কুড়িয়ে শত শত মানুষ ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে এই শালপাতায়।  

জানা যায়, বিরলে কালিয়াগঞ্জের ধর্মপুর ও রাণীপুকুর ইউপি’র ধর্মপুর, নলপুর, এনায়েতপুর, মহেশ শীবপুর, ছোট চৌপুকুরিয়া, বাঁমনগাঁও, বিশ্বনাথপুর, রাণীপুর, কামদেবপুর, ধর্মজইনসহ আশপাশের গ্রামগুলোয় বিশাল এই শালবনের বিস্তৃতি। বীরগঞ্জের ভোগনগর ইউপির ৮৫৫.৫০ একর ভূমির উপর অবস্থিত বনে চোখে পড়বে প্রাচীন পত্রঝরা সিংড়ার বনাঞ্চল শালবন।  

বসন্তের আগমনের শুরু থেকে ধর্মপুর, সিংড়াসহ বিভিন্ন শালবনের শাল, সেগুন, আকাশমনি গাছসহ অন্যান্য গাছের শুকনো পাতা ব্যাপক ঝড়ে পড়তে শুরু করে। আর এই শুকনো পাতা সংগ্রহ করে নিজেদের দৈনন্দিন রান্নার কাজসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বাজারজাত করে জীবিকা নির্বাহ করে ওই এলাকার হৈমন্তি, জীবীত, অরুন, রাজেন, জাকারিয়া, এনামুল, মজেন, শান্তিবালা, রূপবানীসহ নাম না জানা অনেকে।

 কয়েকজন শালপাতা সংগ্রহকারীরা জানায়, প্রতিদিন একজন ১০ থেকে ১৫ বস্তা পাতা সংগ্রহ করতে পারেন। প্রতি বস্তা পাতা এলাকায় ৪০ টাকা হারে বিক্রি হয়। এতে প্রতিদিন ৪০০ থেকে প্রায় ৬০০ টাকা আয় করা সম্ভব হয়। আর যাদের ভ্যানগাড়ি কিংবা অন্য কোন বাহন আছে, তারা এই পাতার বস্তাগুলো নিয়ে শহরে গিয়ে প্রতি বস্তা ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেন। তাদের ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি আয় হয়। তবে বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে বৃষ্টি’র শুরুর পর বিক্রি করলে দাম আরও বেশি পাওয়া যায় এবং তখন শুকনো পাতার চাহিদাও বেশী থাকে। তবে এসব শুকনো পাতার কোন হাট-বাজার গড়ে উঠেনি। একজন আরেকজন পরিচিতর মাধ্যমে এই পাতা সংগ্রহ ও বাজারজাত করে আসছেন তারা।

Thursday, August 26, 2021

নকলা হাসপাতালে ডিজিটাল সরঞ্জাম সংযোজনে বাড়ছে চিকিৎসা সেবার মান

নকলা হাসপাতালে ডিজিটাল সরঞ্জাম সংযোজনে বাড়ছে চিকিৎসা সেবার মান

 

নকলা হাসপাতালে ডিজিটাল সরঞ্জাম সংযোজনে বাড়ছে চিকিৎসা সেবার মান


নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:


শেরপুরের নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে ও বাহিরে সিসি ক্যামেরা ও সাউন্ড সিস্টেম লাগানোর ফলে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে চিকিৎসা সেবার মান। ফলে নকলা হাসপাতালের প্রতি সাধারন মানুষের আগ্রহ ও বিশ্বস্থতা বাড়ছে।


মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনের প্রতিটি কক্ষে সাউন্ড সিস্টেম লাগানো হয়েছে; সংযোজন করা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। এছাড়া রোগীদের বসার জন্য সরবরাহ করা হয়েছে পরিমিত পরিমাণে চেয়ার ও বেঞ্চ। সেবা গ্রহীতাদের গরম থেকে পরিত্রানের জন্য লাগানো হয়েছে প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিক পাখা। এতে বেড়েছে চিকিৎসা সেবার মান, ফলে এই হাসপাতালের প্রতি সাধারন মানুষের আগ্রহ ক্রমেই বাড়েছ।



উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হাসপাতাল ভবনের প্রতিটি কক্ষে সাউন্ড সিস্টেম লাগানো হয়েছে। এখন থেকে কোন্ কক্ষে কি কি ধরনের সেবা দেওয়া হয় এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কে আগত রোগী ও রোগীর স্বজনদেরকে সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ক নিয়মিত বার্তা প্রদান করা হবে। এছাড়া হাসপাতালের নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যেসব স্থানে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা লাগানো দরকার, সেসব স্থানে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এমনকি রোগীদের বসার জন্য সরবরাহ করা হয়েছে চেয়ার ও বেঞ্চ। রোগীদের গরম থেকে পরিত্রানের জন্য প্রয়োজনীয় স্থানে বৈদ্যুতিক নতুন পাখা লাগানো হয়েছে।


ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি নকলা হাসপাতালে যোগদানের পর থেকেই চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিকিৎসক ও নার্সসহ হাসপাতালে কর্মরত সকলকে সাথে নিয়ে একযোগে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ বজায় রেখে চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধি করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।


নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের আনাগোনা কমেছে। এখন অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে ও সুষ্ঠভাবে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলছে। ফলে আগের চেয়ে নকলা হাসপাতালের প্রতি সাধারন মানুষের আগ্রহ ও বিশ্বস্থতা কয়েক গুণ বেড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।

মানবাধিকার সংস্থা ‘আমাদের আইন’র নকলা উপজেলার নেতৃত্বে যারা

মানবাধিকার সংস্থা ‘আমাদের আইন’র নকলা উপজেলার নেতৃত্বে যারা



 

মানবাধিকার সংস্থা ‘আমাদের আইন’র নকলা উপজেলার নেতৃত্বে যারা


স্টাফ রিপোর্টারঃ


"আন্তরিকতায় পাশে থাকুন দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ুন" উক্ত শ্লোগানকে ধারণ করে শেরপুরে মানবাধিকার সংস্থা ‘আমাদের আইন’র নকলা উপজেলা শাখার কমিটি গঠিত হয়েছে।


২৫ আগষ্ট বুধবার রাতে সংগঠনটির নিউমার্কেট জেলা কার্যালয় অফিস কক্ষে ‘আমাদের আইন’ শেরপুর জেলা শাখার চেয়ারম্যান ও ময়মনসিংহ বিভাগের কো-অর্ডিনেটর নুর ই আলম চঞ্চল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ বিভাগের সাব কো-অর্ডিনেটর নাজমুল আলম এর সঞ্চালনায় সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন রাজুর উপস্হিতিতে এক মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে রাশেদুল কিবরিয়া কে সভাপতি, মকিব হোসেন মামুন কে সাধারণ সম্পাদক ও আব্দুল্লাহ আল-আমিন কে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে প্রাথমিক ভাবে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন ও উক্ত কমিটিকে পর্যায়ক্রমে সদস্য বৃদ্ধি করে পূর্ণাঙ্গ করার লক্ষ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়।


কমিটির অন্যান্যরা হচ্ছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আরেফিন আহমেদ সরকার, মুইদুজ্জামান মুঈদ,মোঃ আতিকুর রহমান,কাইউম উদ্দিন জুয়েল  ও রোমানা ইয়াসমিন, সহ সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, আল মামুন ও শোয়েব শাহরিয়ার।


উল্লেখ্য,এর আগে, মানবাধিকার কি? মানবের অধিকার নিশ্চিতে কি কি করণীয়? এ ব্যাপারে সম্মুখ ধারণা প্রদান করেন সংগঠনটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম।


চেয়ারম্যান নুর ই আলম চঞ্চল বলেন, গরিব-দুঃখী, অবহেলিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে ‘আমাদের আইন’ শেরপুর জেলা শাখা। আজ নকলা উপজেলা কমিটি গঠনের মাধ্যমে এর গতি আরও বৃদ্ধি পেলো। এ গতিকে জোড়ালো করতে আমরা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ড, ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করবো সে জন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও নিঃস্বার্থভাবে মানুষের সেবা করার মনোভাব থাকাটা অতীব জরুরী।

Tuesday, August 24, 2021

চির নিদ্রায় শায়িত হলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান

চির নিদ্রায় শায়িত হলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান

 চির নিদ্রায় শায়িত হলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান  



স্টাফ রিপোর্টারঃ


চির নিদ্রায় শায়িত হলেন শেরপুরের নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান (৭১)। 

করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১৮ আগস্ট তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  তিনি আজ ২৩ আগস্ট  বিকেল ৫ টা ২০ মিনিটে মৃত্যু বরন করেন। ২৪ আগস্ট সকালে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নকলা সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর  রহমানে নেতৃত্বে  সম্মান প্রদর্শন করা হয়  ।


তিনি ২০১৫ সালের  এপ্রিলে নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে  তিনি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দ্বায়িত্বে ছিলেন ।


বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নকলা থানা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে সময় তিনি ১১নং সেক্টরে অধীনে মুক্তিযোদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।  ১৯৭২ সালে নকলা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সভাপতি নির্বাচিত হন। 



তিনি ১৯৮৪ সালে নকলা হাজী জালমামুদ কলেজে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক পদ থেকে  ২০০৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন । বিবাহিত জীবনে তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। 


তার মৃত্যুতে নকলা নালিতাবাড়ী আসনের এম পি ও কৃষি মন্ত্রনালয়ের সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরীর ও নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন।

Monday, August 23, 2021

নকলা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আর নেই

নকলা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আর নেই

 


নকলা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আর নেই
রাইসুল ইসলাম রিফাত :

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান মারা গেছেন; ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজিউন।

সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকাল ৫:২০ মিনিটের সময় শেরপুর সদর হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান নকলা পৌরসভার কায়দা এলাকার মৃত আব্দুল হামিদ-এর ছেলে। 
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার সময় (১০:৩০) নকলা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাষ্ট্রীয় ভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে মরহুমের যানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। যানাজা নামাজ শেষে কায়দা বাজারদী গোরস্থানে সমাহিত করা হবে বলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও মরহুমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

মৃত্যুকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। নকলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের অফিস সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট তালিকা নং ১০৩৯ ও লাল মুক্তিবার্তা তালিকা নং ০১১৪০৩০২৪৬। তিনি হাজী জালমামুদ কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।


বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমানের মৃত্যুতে শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) সংসদীয় আসনের এমপি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবকে কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক শাহ মো. বোরহান উদ্দিন,উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম তালুকদারসহ উপজেলা পরিষদের অন্যান্যরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহসহ কমিটির অন্যান্যরা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম হিরু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, পৌরসভার মেয়র মো. হাফিজুর রহমান লিটন, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ.কে.এম মাহবুবুল আলম সোহাগ, সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলতাব আলী, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ নকলা উপজেলা শাখার সভাপতি মজিবর রহমান ও সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বিদ্যুৎসহ কমিটির অন্যান্যরা, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সোহেল, যুগ্ম আহবায়ক এফ.এম কামরুল আলম রঞ্জু ও রেজাউল করিম রিপনসহ কমিটির অন্যান্যরা, নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান, নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সরকার বাবুসহ কমিটির অন্যান্যরা, জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ ও উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর অনেকে আলাদাভাবে শোক প্রকাশ করেছন। তাঁরা সকলেই মরহুদের আত্মার মাগফেরাত কামনার পাশাপাশি মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।


সালিসে ডেকে এনে তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

সালিসে ডেকে এনে তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

  বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক তরুণকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় কাউন্সিলরের কার্যালয়ে সালিসের নামে ওই তরুণকে ডেকে নিয়ে বেদম পিটুনি দেওয়া হয়। পরে রোববার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই তরুণ।


মারা যাওয়া ওই তরুণের নাম আবদুল মোমিন (২৪)। তিনি বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। মোমিন হোটেলে কাজ করতেন। খবর পেয়ে পুলিশ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য একই হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বগুড়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলামকে সন্ধ্যায় আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

আবদুল মোমিনের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক শিশুকে (৯) যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সালিসের নামে আবদুল মোমিনকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নেন পৌর কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম। সেখানে মোমিনকে বেধড়ক পেটান তিনি। একপর্যায়ে পিটুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মোমিন। অবস্থা বেগতিক দেখে পৌর কাউন্সিলর পরে মোমিনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। স্বজনেরা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাড়িতে নিয়ে যান। রোববার সকালে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে মারা যান মোমিন।

অন্যদিকে রাতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। সেখানে আবদুল মোমিনকে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর বলেন, ‘সালিসে মোমিনকে মারার অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর পরিবারের লোকজনই শাসন করতে তাঁকে আমার কার্যালয়ে চড়থাপ্পর মেরেছেন। আমি তাঁকে কোনো প্রকার মারধর করিনি।’

এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে মোমিনের পরিবার থেকে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে সালিসে ডেকে পেটানোর অভিযোগ পেয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৌর কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলামকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত হয়নি।