নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি : চান্দের আলো, সূর্যের আলো, বৃষ্টির পানির ফোঁটা সবই পড়ে আমার এই ভাঙ্গা ঘরে তয় ঐ বড় স্যারগরে নজর পড়ে না। এমন ক্ষোভ প্রকাশ করে কান্না জড়িত কন্ঠে কথা গুলো বলেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা আমেনা বেগম।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র কাছে একটি ঘরের জন্য অনুরোধ জানান। শেষ বয়সে একটু শান্তিতে ঘুমাতে চান। ঝড়বৃষ্টিতে অন্যের ঘরে আশ্রয় নিতে আর ভাল লাগে না।
তার বাড়ির সামনেই তৈরি হয়েছে ৩১ পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার সরকারী আশ্রয় প্রকল্প। এই বৃদ্ধা আমেনা বেগমের বাড়ি পাড়ি দিয়ে যেতে হয় ঐ সরকারী আশ্রয় প্রকল্পে।
তবে ঐ এলাকার একমাত্র ঘর পাওয়ার কথা ছিল তার। এরই মধ্যে একদিকে হেলে পড়েছে তার ঘর।
শেরপুরের নকলা উপজেলা চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের বাছুর আলগী গ্রামের স্বামী সন্তান হারা বৃদ্ধা আমেনা বেগম। বিধবা হয়েছে প্রায় ৫০ বছর আগে একমাত্র ছেলে সন্তানের মৃত্যু হয়েছে ১৯৮৮ সালের বন্যার পানিতে ডুবে।
তবুও হার মানেনি জীবন সংগ্রামে মাথায় ঝুপড়ি করে গ্রামে গ্রামে বাদাম ,বুট, নাড়ু মুড়ি বিক্রি করে পার করেছেন সংগ্রামী জীবন যৌবন। এখন আর চলে না। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া অবস্থা। ইবাদত বন্দেগী করে আর অন্যের সহযোগিতা চলে জীবন।
এই বৃদ্ধা আমেনা বেগমের সব দিক দিয়ে দিনের বেলায় সূর্যের আলো ঝলমল করে, রাতের বেলায় বিচরণ করে চাঁদের আলো, আর বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে টলটল করে। ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে আশ্রয় নিতে হয় অন্যের বাড়িতে।
স্থানীয় এলাকাবাসী পারুল বেগম বলেন, যার ঘর আছে সেই মানুষ ঘর পাইল আর এই আমেনা বেগমের ভাঙ্গা ঘর, নাই স্বামী সন্তান এই মহিলা ঘর পাইল না। কত অফিসার আইল এই সরকারী ঘর দেখবার এই মহিলার ঘর কেউ দেখল না ।
নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে ঐ বৃদ্ধা মহিলা কে ঘর বিতরণে চেষ্টা করবো।
নকলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঐ বৃদ্ধা মহিলা কে ঘর বিতরণের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানাবো ।
মোশাররফ হোসেন সরকার
নকলা উপজেলা প্রতিনিধি
0 coment rios: