আব্দুল্লাহ আল-আমিনঃ-
শীত আসছে, দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা। তাইতো সাত-সকালে ঘাস-পাতার ওপর জমে থাকা শিশির কণা জানিয়ে দেয় আসছে শীতের আগমনী বার্তা।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রচণ্ড শীত পড়ার আগেই ঠান্ডা নিবারণে মানুষের প্রস্তুতিও চলছে পুরোদমে। ফলে শীতের শুরুতেই শেরপুরের নকলা উপজেলার আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
পৌষ ও মাঘ মাস পুরো শীতকাল। আর এই শীতের রাতে মানুষের সঙ্গী হবে গরম কাপড় লেপ ও তোশক। তাইতো শীতের এই মৌসুমকে কেন্দ্র করে কদর বেড়েছে লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের। কাজের ব্যস্ততার পাশাপাশি শীতের মৌসুমে আয়ও বেড়ে যায় এসব কারিগরদের। অধীর আগ্রহ নিয়ে বছরের এ সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তারা।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে লেপ তোষকের দোকান গুলোতে কারিগরদের এখন ব্যস্ততা দেখা গেছে। তোষক কিনতে আশা কাচারি রোডের মোবাইল ব্যবসায়ী মকিব হোসেন মামুন জানান, বর্তমানে ভালোমানের তোষক বানাতে বেশি টাকা লাগছে। আগে এক থেকে দেড় হাজারের মতো লাগত কিন্তু এখন ভালো মানের তোষক কিনতে প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা লাগছে।
নকলা বাজারের লেপ-তোষকের ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম আকন্দ জানান, শীতের এই সময়টিতে তাদের আয় ভালো হয়। বছরের বাকি সময় মোটামুটি অলস সময় পার করেন। তবে বর্তমানে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম একটু বেশি। তিনি আরও জানান, শীতের শুরুতেই তার দোকানে অর্ডার এবং বিক্রির পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে এবং বানানোর চেয়ে রেডিমেইডের ক্রেতার সংখ্যাই বেশি।
উপজেলায় আরও অন্যান্য লেপ-তোষক বিক্রেতারা জানান, প্রতিদিন একজন কারিগর তার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী ৮ থেকে ১০ টি লেপ-তোষক তৈরি করতে পারেন এবং বর্তমানে কাজের চাপ বেশি থাকায় লেপ-তোষকের অর্ডার নিলেও যথাসময়ে ডেলিভারি দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
0 coment rios: