Sunday, November 16, 2025

অন্যায়ভাবে আটক মেয়র মোখলেছুর রহমানের মুক্তির দাবিতে জনমত জোরদার

অন্যায়ভাবে আটক মেয়র মোখলেছুর রহমানের মুক্তির দাবিতে জনমত জোরদার



নকলা প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত নতুন প্রভাতে এগিয়ে চলছে। এই পরিবর্তনের সময়ে নকলা নালিতাবাড়ী আসনে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক হুইপ মরহুম আলহাজ্ব জাহেদ আলী চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরী।

একসময় নকলা বিএনপি বিভেদে জর্জরিত থাকলেও এখন ভিন্ন চিত্র। সব মতভেদ ভুলে নেতাকর্মীরা একীভূত হয়েছে। ফাহিম চৌধুরীর নেতৃত্বে নকলা আজ ঐক্যের স্রোতে মুখরিত।

তবে এই আলোর মুহূর্তেও এলাকায় বিরাজ করছে গভীর দুঃখের ছায়া। নকলা বিএনপির অভিভাবক হিসেবে পরিচিত এবং স্বৈরাচারের সময়ে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত নেতাদের একজন জনপ্রিয় মেয়র মোখলেছুর রহমান এখনো ফ্যাসিস্ট সরকারের দেওয়া মিথ্যা মামলায় বন্দি।

তিনি একসময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য এবং পৌর বিএনপির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নকলার মানুষের হৃদয়ে তিনি এখনও সমানভাবে প্রিয়।

এমন সময়ে দেশ যখন স্বৈরাচারমুক্ত এবং নকলা যখন ঐক্যের আলোয় আলোকিত তখনো এই ত্যাগী নেতার মুক্তি না পাওয়ায় জনমনে গভীর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নকলার মানুষের প্রশ্ন এখন রাজনীতি নয়। এটি ন্যায় ও মানবতার প্রশ্ন। তাদের দাবি জনতার মেয়র মোখলেছুর রহমানকে দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

এলাকার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা জানান তারা বিশ্বাস করেন ন্যায়ের পূর্ণ বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই দাবি অব্যাহত থাকবে। নকলার জনমত স্পষ্ট তারা অবিচারের অবসান এবং প্রিয় নেতার মুক্তি চান।

Saturday, November 15, 2025

নালিতাবাড়ীতে একাধিক কর্মসূচিতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন

নালিতাবাড়ীতে একাধিক কর্মসূচিতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন


স্টাফ রিপোর্টার :

"কর্মক্ষেত্রে ডায়াবেটিস সচেতনতা গড়ে তুলুন" স্লোগানে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে।

১৫ নভেম্বর শনিবার পৌর শহরের কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা মেমোরিয়াল ডায়াবেটিস হাসপাতাল প্রাঙ্গনে এই আয়োজন করে ডায়াবেটিক সমিতি।

দিবসটি উপলক্ষে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়।

নালিতাবাড়ী ডায়াবেটিক সমিতির আজীবন সদস্য রমজান আলীর সভাপতিত্বে ও এমএ রায়হানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ওই সমিতির আজীবন সদস্য জহুরুল হক, এন.এম সাদরুল আহসান মাসুম, আইনজীবী সুধাংশু কালোয়ার, সদস্য সচিব কিরন দত্ত, কার্যকরী সদস্য ডাঃ আব্দুল্লাহহেল ওয়াসি খান জনি, চীফ মেডিকেল অফিসার গোপাল সাহা প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে চিকিৎসক, ডায়াবেটিক সমিতির সকল সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
শেরপুরের আশা ফিজিওথেরাপি সেন্টারে মিলছে ব্যাথামুক্ত জীবন

শেরপুরের আশা ফিজিওথেরাপি সেন্টারে মিলছে ব্যাথামুক্ত জীবন

 
স্টাফ রিপোর্টার:

শেরপুরে বয়স্ক মানুষ, প্রতিবন্ধী শিশু, অসহায় নারী ও পুরুষদের শারীরিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে দেশের স্বনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান আশা এর সামাজিক প্রকল্প শেরপুর আশা ফিজিওথেরাপি সেন্টার। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে যাত্রা শুরুর পর থেকে এই সেন্টার ইতোমধ্যে জেলার স্বাস্থ্যসেবায় এক মানবিক উদ্যোগ হিসেবে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
উদ্বোধনের পর গত আড়াই বছরে সেন্টারটি থেকে সেবা নিয়েছেন ২০ হাজারের বেশি রোগী। নিয়মিত সেশনে হাঁটু ব্যাথা, কোমর ব্যাথা, স্ট্রোক-পরবর্তী জটিলতা, প্রতিবন্ধী শিশুদের পুনর্বাসন, বাতব্যথা, মেরুদণ্ডের সমস্যা, অপারেশন পরবর্তী থেরাপি, সাইটিকা ও বিভিন্ন নার্ভজনিত সমস্যার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শহরের সদর থানা রোডে অবস্থিত শান্ত পরিবেশে গড়ে ওঠা এ সেন্টারে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন রোগী মাত্র ১০০ টাকা ফি তে থেরাপি সেবা পাচ্ছেন। আশার সদস্যদের জন্য এই ফি আরও কমিয়ে রাখা হয়েছে ৫০ টাকা, যা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ সহায়তা হিসেবে কাজ করছে।এছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতি মাসে ২ টি করে ফিজিওথেরাপি ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয় । যেখানে মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে দরিদ্র মানুষদের সেবা ও পরামর্শ প্রদান করা হয় ।

এই সেন্টারে ফিজিওথেরাপি সেবা প্রদান করেন প্রশিক্ষিত ও যোগ্য বিশেষজ্ঞরা। তাদের মধ্যে রয়েছেন ফিজিওথেরাপিস্ট মো. আশরাফুল ইসলাম, বিপিটি (গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজ), মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথ (ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) ও ফিজিওথেরাপিস্ট
রাজিয়া সুলতানা, বিপিটি (নিটোর)।
এছাড়াও রয়েছে অফিস সহায়কবৃন্দ, যারা রোগীদের সেবাকে আরও সহজ ও কার্যকর করে তুলতে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।

স্থানীয়রা জানান, সাশ্রয়ী মূল্যে থেরাপি গ্রহণ করে ইতোমধ্যে অনেক রোগী হাঁটাচলার অক্ষমতা থেকে সুস্থ হয়েছেন। বৃদ্ধা নারীদের জন্য এই সেন্টার যেন সত্যিকার অর্থেই আশার আলো হয়ে উঠেছে। নিয়মিত থেরাপিতে কোমর ব্যথা, মাংসপেশীর সমস্যা, স্ট্রোক-পরবর্তী অবশভাবসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আরাম পাচ্ছেন অনেকেই।

সেন্টারের দায়িত্বশীলরা বলেন, জেলার সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে স্বল্প খরচে উন্নত থেরাপি প্রদানই তাদের মূল লক্ষ্য। অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টদের মাধ্যমে প্রতিটি রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে সেন্টারের পরিসর আরও বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।

স্থানীয়রা এই উদ্যোগকে মানবিক, সময়োপযোগী ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের মতে, সেন্টারের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হলে জেলার আরও অনেক মানুষ উপকৃত হবেন।

Thursday, November 13, 2025

নকলায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, তিন বেকারিকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা

নকলায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, তিন বেকারিকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:

শেরপুরের নকলায় বিএসটিআই-এর লাইসেন্স ব্যতীত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারি পণ্য উৎপাদন এবং সংরক্ষণের অপরাধে তিনটি বেকারিকে মোট ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
১২ নভেম্বর বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম পরিচালিত ওই মোবাইল কোর্টে রাতুল বেকারি, আল-মমিন বেকারি এবং আল-কাইয়ুম বেকারির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ জরিমানা করা হয়।

অভিযানে বিএসটিআই-এর ফিল্ড অফিসার এবং থানা পুলিশের একটি দল ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করে।
মোবাইল কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, বেকারিগুলোতে প্রয়োজনীয় বিএসটিআই লাইসেন্স ছাড়াই উৎপাদন কার্যক্রম চলছিল এবং উৎপাদন পরিবেশ ছিল অস্বাস্থ্যকর। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নকলায় বাল্যবিবাহের দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

নকলায় বাল্যবিবাহের দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার:

শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়নখোলা দক্ষিণ গ্রামে বাল্যবিবাহের আয়োজন করার অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন অ্যানি এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানকালে বাল্যবিবাহের আয়োজন প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন অ্যানি জানান, “বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। এ ধরনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

Monday, November 10, 2025

নকলায় সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পক্ষ  থেকে নবাগত ওসিকে ফুলেল শুভেচ্ছা

নকলায় সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে নবাগত ওসিকে ফুলেল শুভেচ্ছা


শেরপুর জেলার নকলা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে নকলা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ।
সোমবার দুপুরে নকলা থানা প্রাঙ্গণে এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান ও জমশেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মোমেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, দপ্তর সম্পাদক ফারুক হোসেন, অর্থ সম্পাদক হাবিবুর রহমান এবং সহ-অর্থ সম্পাদক এমদাদ হোসেনসহ অন্যান্যরা।
নেতৃবৃন্দ নবাগত ওসি ফিরোজ হোসেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং নকলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন ও জনসেবায় তার নেতৃত্বে পুলিশের ভূমিকা আরও গতিশীল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ওসি ফিরোজ হোসেনও সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির এই আন্তরিক শুভেচ্ছায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “নকলা উপজেলাকে একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ এলাকায় পরিণত করতে সকলের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে সমাজে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।”


মাগুরার জেলা প্রশাসক হলেন নকলার কৃতি সন্তান মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ

মাগুরার জেলা প্রশাসক হলেন নকলার কৃতি সন্তান মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ



রাইসুল ইসলাম রিফাত:

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার জানকিপুর গ্রামের কৃতি সন্তান মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সম্প্রতি মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। সততা, দক্ষতা, মেধা ও দেশপ্রেমের এক উজ্জ্বল সমন্বয় তিনি। দীর্ঘ প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ও নীতিনিষ্ঠ কর্মদক্ষতার মাধ্যমে নিজেকে দেশের প্রশাসনে এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

শৈশব ও কৈশর কেটেছে নকলার মাটিতে। এখান থেকেই তিনি গড়ে তুলেছিলেন তার মেধা ও নৈতিকতার ভিত্তি। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন নকলায়। ২০০০ সালে পাঠাকাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি এবং ২০০২ সালে ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

এরপর তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রম ২০তম স্থান অর্জন করে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (DVM) কোর্সে ভর্তি হন। ২০০৭ সালে স্নাতক  (সম্মান) ডিগ্রি এবং ২০০৯ সালে মাইক্রোবায়োলজিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। শিক্ষার প্রতি গভীর অনুরাগের ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে জাপানের ইয়ামাগুচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন।

জানা যায়, তিনি ২০১০ সালের পহেলা ডিসেম্বর ২৮তম বিসিএস এ প্রশাসন ক্যাডারে মেধাক্রম ৮২তম হয়ে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুনামগঞ্জে যোগদান করেন। এরপর সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে দ্রুতই তিনি প্রশাসনের আস্থা অর্জন করেন।

তার কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন— ইউএনও হিসেবে মাঠ প্রশাসনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে সফলভাবে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন এবং সর্বশেষ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার প্রতিটি পদে দায়িত্বশীলতা, মানবিকতা ও পেশাদারিত্বের অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন তিনি।

অবশেষে বাংলাদেশ সরকার তার অভিজ্ঞতা, কর্মনিষ্ঠা ও নেতৃত্বগুণের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।

পারিবারিকভাবে তিনি একটি সুশিক্ষিত ও সম্মানিত পরিবারের সদস্য। তার পিতা মৃত শাহ মো. আব্দুল আউয়াল ১৯৭২ সালে এসএসসি ও ১৯৭৪ সালে ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্পোরাল ছিলেন। মাতা মানছুরা বেগম ১৯৭৭ সালে ইলেক্টিভ সায়েন্স বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মেট্রিক পাস করেন। তিনি একজন গৃহিণী হলেও সন্তানদের শিক্ষায় ও নৈতিকতায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাদের ছয় সন্তানের সবাই উচ্চশিক্ষিত ও নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত—

১. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ: ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া থেকে স্নাতক শেষে বর্তমানে শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া স্কুলের শিক্ষক ২. মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ: জেলা প্রশাসক, মাগুরা
৩. কৃষিবিদ উম্মুল ওয়ারা (মুন্নি):বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন শেষে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ৪. শাহজাদী উলফাত আরা মুক্তা: ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন ৫. শাহ মো. আব্দুল্লাহ আল মাহবুব: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি (অনার্স) ফাইনাল বর্ষের শিক্ষার্থী ৬. শাহজাদী ইসমাত আরা মুনা: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী।

অর্থাৎ,  ছয় ভাই-বোনই যেনো নকলাবাসীর শিক্ষানুরাগীদের অনুপ্রেরণা।

এলাকাবাসী জানান, নকলার জানকিপুর গ্রামের এই আদর্শ পরিবারের  কৃতি সন্তান মাহমুদ আজ গোটা শেরপুরের গর্ব। প্রশাসনে তার নিষ্ঠা, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রজ্ঞাপূর্ণ নেতৃত্ব আগামী প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

তার এই অর্জন কেবল ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং নকলার মানুষের জন্যও এক গৌরবের অধ্যায়।